জীবনের অর্থ কি ? তুমি ছাড়া

আগে নিজের কথা বলি,
ছেলেদের উপর মাস্তানি করা ছিল স্বভাব। তাও টিচাররা খুব আদর করতো। হয়তো তারা আমার ভিতরটা চিনত তাই।
কেউ কখনও উঁচু গলায় কথাও বলে নি,শাস্তি দেয়া তো দূরে থাক। ক্লাসের সবাইও খুব পছন্দ করতো। সবার দরকারে সবার আগে সাহায্য করতাম অবশ্য ভাল লাগতো তাই।
ক্লাস ৯ এর ১ম দিন। নতুন অনেকে এসেছে...আবার বান্ধবীরা অনেকে আলাদা শাখায় চলে গিয়েছে,কেউ বিজ্ঞান আবার কেউ বা মানবিক কেউ বা ব্যবসায়।
আমি ব্যবসায় শাখা নিয়েছি।ক্লাস টিচার নতুন রোল বলল তারপরই আগের আর পরের মেয়ে কে তা খুঁজতে লাগলাম কারন পরীক্ষাতে তারাই হবে সবচেয়ে কাছের বন্ধু। পরের জনকে দেখে আর নতুন করে বলার কিছুই নাই কিন্তু আগের জনকে আর খুঁজে পাই না।
তারপর পেলাম, দেখি শেষের দিক থেকে ৩ নাম্বার বেঞ্চে মাথা নিচু করে বসে একটি পিচ্চি মেয়ে, মাথায় একটি ঝুঁটি, খুব সাধারন।
কাছে গেলাম,কথা বললাম। পেয়ে গেলাম আগের জন। খুব মায়া লাগল ওর জন্য। ওর কোন বান্ধবী নেই কারণটা খুব সহজ, ও কারো সাথে কথা বলে না।
আমি ধরলাম ওর হাত, ওই যে ধরলাম আর ছাড়ি নি। আমাদের খুব মজার একটা মিল ছিল
ওর ও হাত খুব ঘামতো,আমার ও। তাই দুইজনের হাত সব সময় একসাথে থাকলেও কোন সমস্যা ছিল না আর অন্যকেউ হলে ভিজা হাত ধরতো না আমি জানি।
একসাথে সব সময় বসতাম টিফিন টাইমে ও কিনে খেতো আর আমি বাসা থেকে নিতাম। এমন কোন দিন নেই যেইদিন একা খেয়েছি।
আমি যেখানে প্রাইভেট পরতাম ওইখানে ওকেও নিয়ে গেলাম। ক্লাস টাইমেও আমরা গায়ে গা লাগিয়ে বসতাম নইলে খুব খালি খালি লাগতো। আর স্যার না থাকলে তো কথাই নেই ওর কোলে আমার মাথা। ক্লাসের সবাই আমাদের হিংসা করতো। করুক তাতে কি...?

দেখতে দেখতে ২ বছর শেষ। এস এস সি এর রেজাল্ট বের হল। ও জি পি এ ৫ পেল আমার টা কেন জানি মিস... খুব কষ্ট পেলাম।
আর কারো সাথে কন্ট্রাক রাখলাম না, কারো সাথে ভর্তিও হলাম না।
বাবার খুব ইচ্ছা ছিল,আমার মেয়ে ইঞ্জিনিয়ার হবে কিন্তু আমার ইচ্ছা ছিল ACCA
নিজের ইচ্ছাতে মাটি দিয়ে ভর্তি হলাম ইঞ্জিনিয়ারিং এ ।
গল্প কিন্তু এখানেই শেষ নয়।
ও ঠিকই আমাকে খুঁজে বের করল। আবার শুরু হল আমাদের হাতে হাত রাখা, সময় পেলেই চলে যেতাম ওর বাসায়। ওদের ছাদের সিঁড়ি ঘরের উপরের পিলারে ওর কোলে শুয়ে গল্প করতাম নতুন জীবনের, নতুন বন্ধুদের। কিন্তু কেউই শান্তি পেতাম না আলাদা হয়ে।

এইচ এস সি পরীক্ষার আগের দিন, ওর বাসায় আগের মতো আড্ডা, গল্প আর কোলে শুয়ে থাকা।
আসার সময় ও আমাকে জরিয়ে ধরে বলল, আমার পরীক্ষা শেষ হওয়ার আগে আর আমার বাসায় আসবি না, তুই আসলে পড়া হয় না, তোর সাথে গল্প করতে ভাল লাগে খুব।

চলে এলাম... নিজের পরীক্ষার জন্য আর ওকে ফোন ও দেয়া হয় নি।
আর যখন দিলাম ও ফোন ধরল না, একবার না বার বার দিলাম। এস এম এস করলাম কোন উত্তর নাই
রেজাল্ট শুনলাম অন্যের মুখে। জানালো না আমাকে। আমি আবারো ফোন দিলাম ও ফোন ধরল না, একবার না বার বার দিলাম। এস এম এস করলাম উত্তর দিল না...
আর কতো...
কারো জন্য কি কারো জীবন থেমে থাকে...
আমি চলছি আমার মতো... একা...
আগে নিজের কথা বলি,
ছেলেদের উপর মাস্তানি করা ছিল স্বভাব। তাও টিচাররা খুব আদর করতো। হয়তো তারা আমার ভিতরটা চিনত তাই।
কেউ কখনও উঁচু গলায় কথাও বলে নি,শাস্তি দেয়া তো দূরে থাক। ক্লাসের সবাইও খুব পছন্দ করতো। সবার দরকারে সবার আগে সাহায্য করতাম অবশ্য ভাল লাগতো তাই।
ক্লাস ৯ এর ১ম দিন। নতুন অনেকে এসেছে...আবার বান্ধবীরা অনেকে আলাদা শাখায় চলে গিয়েছে,কেউ বিজ্ঞান আবার কেউ বা মানবিক কেউ বা ব্যবসায়।
আমি ব্যবসায় শাখা নিয়েছি।ক্লাস টিচার নতুন রোল বলল তারপরই আগের আর পরের মেয়ে কে তা খুঁজতে লাগলাম কারন পরীক্ষাতে তারাই হবে সবচেয়ে কাছের বন্ধু। পরের জনকে দেখে আর নতুন করে বলার কিছুই নাই কিন্তু আগের জনকে আর খুঁজে পাই না।
তারপর পেলাম, দেখি শেষের দিক থেকে ৩ নাম্বার বেঞ্চে মাথা নিচু করে বসে একটি পিচ্চি মেয়ে, মাথায় একটি ঝুঁটি, খুব সাধারন।
কাছে গেলাম,কথা বললাম। পেয়ে গেলাম আগের জন। খুব মায়া লাগল ওর জন্য। ওর কোন বান্ধবী নেই কারণটা খুব সহজ, ও কারো সাথে কথা বলে না।
আমি ধরলাম ওর হাত, ওই যে ধরলাম আর ছাড়ি নি। আমাদের খুব মজার একটা মিল ছিল
ওর ও হাত খুব ঘামতো,আমার ও। তাই দুইজনের হাত সব সময় একসাথে থাকলেও কোন সমস্যা ছিল না আর অন্যকেউ হলে ভিজা হাত ধরতো না আমি জানি।
একসাথে সব সময় বসতাম টিফিন টাইমে ও কিনে খেতো আর আমি বাসা থেকে নিতাম। এমন কোন দিন নেই যেইদিন একা খেয়েছি।
আমি যেখানে প্রাইভেট পরতাম ওইখানে ওকেও নিয়ে গেলাম। ক্লাস টাইমেও আমরা গায়ে গা লাগিয়ে বসতাম নইলে খুব খালি খালি লাগতো। আর স্যার না থাকলে তো কথাই নেই ওর কোলে আমার মাথা। ক্লাসের সবাই আমাদের হিংসা করতো। করুক তাতে কি...?
 
দেখতে দেখতে ২ বছর শেষ। এস এস সি এর রেজাল্ট বের হল। ও জি পি এ ৫ পেল আমার টা কেন জানি মিস... খুব কষ্ট পেলাম।
আর কারো সাথে কন্ট্রাক রাখলাম না, কারো সাথে ভর্তিও হলাম না।
বাবার খুব ইচ্ছা ছিল,আমার মেয়ে ইঞ্জিনিয়ার হবে কিন্তু আমার ইচ্ছা ছিল ACCA
নিজের ইচ্ছাতে মাটি দিয়ে ভর্তি হলাম ইঞ্জিনিয়ারিং এ ।
গল্প কিন্তু এখানেই শেষ নয়।
ও ঠিকই আমাকে খুঁজে বের করল। আবার শুরু হল আমাদের হাতে হাত রাখা, সময় পেলেই চলে যেতাম ওর বাসায়। ওদের ছাদের সিঁড়ি ঘরের উপরের পিলারে ওর কোলে শুয়ে গল্প করতাম নতুন জীবনের, নতুন বন্ধুদের। কিন্তু কেউই শান্তি পেতাম না আলাদা হয়ে।
 
এইচ এস সি পরীক্ষার আগের দিন, ওর বাসায় আগের মতো আড্ডা, গল্প আর কোলে শুয়ে থাকা।
আসার সময় ও আমাকে জরিয়ে ধরে বলল, আমার পরীক্ষা শেষ হওয়ার আগে আর আমার বাসায় আসবি না, তুই আসলে পড়া হয় না, তোর সাথে গল্প করতে ভাল লাগে খুব।
 
চলে এলাম... নিজের পরীক্ষার জন্য আর ওকে ফোন ও দেয়া হয় নি।
আর যখন দিলাম ও ফোন ধরল না, একবার না বার বার দিলাম। এস এম এস করলাম কোন উত্তর নাই
রেজাল্ট শুনলাম অন্যের মুখে। জানালো না আমাকে। আমি আবারো ফোন দিলাম ও ফোন ধরল না, একবার না বার বার দিলাম। এস এম এস করলাম উত্তর দিল না...
আর কতো...
কারো জন্য কি কারো জীবন থেমে থাকে...
আমি চলছি আমার মতো... একা...

Comments

Popular posts from this blog

Learning to Pray

Arduino and MQ 2 gas sensor