চকলেটের একটা অ্যাড

চকলেটের একটা অ্যাড। একটা বাচ্চা লিচু
খাবো লিছু খাবো বলে দৃষ্টিকটু
ভাবে চিল্লাচ্ছে। পরে সেই চিল্লানী বন্ধের
সমাধান হিসেবে বাচ্চার বাপ একদম এক
বোতল চকলেট দিল ছেলের হাতে।

চকলেট বা চিপস অথবা জুসের অ্যাড
বা চুইঙ্গাম এর অ্যাড এর কি প্রভাব
বাচ্চাদের উপরে, তা অভিভাবক মাত্রই
জানেন।

এই যে অ্যাডটা দিয়ে বাচ্চাদের শেখানো হল,
তারা চিল্লিয়ে বাপ-মা কে ব্লাকমেইল
করলেই নিজেদের পছন্দমত
জিনিসটা পেয়ে যাবে, সেটা একটা শিশুমনের
কতটা ক্ষতি করল, সেইটা মেপে দেখার
বা চিন্তা করার মত সময় কি আছে আমাদের?

একদম শিশুকাল থেকেই আমরা আমাদের
বাচ্চাদের ম্যাটেরিয়ালিসটিক
হিসেবে গড়ে উঠার একটা পরিবেশ
তৈরি করছি। সমস্যা সেটাও না, সমস্যা হল,
তাদের মনে ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে,
তারা যা চাইবে তাই পাবে, যদি বাপ-মার
সাথে, বা পরিস্থিতির
সাথে জিদাবাজি করে।

কতদুর এর কুফল? কবে, কোথায়, কিভাবে এই কুফল
টা টের পাওয়া যাবে,
সেইটা কি আমরা ভেবে দেখছি?

ধরি সেই বাচ্চাটা বড় হল, এমন কিছু
একটা চেয়ে বসলো তার বাবা মার কাছে,
যেটা দেবার সামর্থ্য তাদের নেই,
তাহলে কি হবে তখন?

ফলাফলটা ইদানিং অনেক জায়গাতেই
দেখা যায়, একটা মোবাইল, বা ডেটিংএ
জাওয়ার জন্য টাকা না পেয়ে আত্মহত্যা,
অথবা কোচিং করবার বা না করবার জন্য
আত্মহত্যার চেষ্টা,
বাবা মাকে কুপিয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা, এই
সব কিছুই কিন্তু ইদানিং বেশ দেখা যায়।

এর জন্য এই ধরনের
বিজ্ঞাপনগুলি মোটামুটি ভাল রকমেরই দায়ি।

Comments

Popular posts from this blog

Learning to Pray

Arduino and MQ 2 gas sensor