অভিমানী ভালোবাসা


মেয়েটা যে রূপবতী,
এটা নিয়ে কারো দ্বিমত
নেই। দেশের
নামকরা ভার্সিটিতে হিস্ট্রিতে অনার্
করছে সে। থার্ড ইয়ার।
সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ
নিয়ে রূপের
চমক
দেখিয়ে সবাইকে পেছনে ফেলে প্রথম
হয়ে গেল সে!
সেই সুবাধে মিডিয়ায়
ছড়িয়ে পড়লো তার
সুনাম! কয়েকটা নাটক-সিনেমায়
অভিনয়ও
করে ফেললো! অবশ্য অভিনয়ে চান্স
পাওয়ার জন্য তার সুন্দর
শরীরটাকে কয়েকটা পশুর ভোগবস্তু
বানাতে হল। কিন্তু তবুও সে হ্যাপি!
তার
বিশ্বাস এই শরীরটা কিছুদিনের
মধ্যেই
তাকে বিখ্যাত করে তুলবে!
কিন্তু তার কপাল খারাপ! সেদিন
রাতে বাসায়
ফেরার পথে আততায়ীর হাতে খুন
হলো সে!
বাবা-মা ও আত্নীয় স্বজনদের চোখের
পানি ঝরিয়ে মাটির
নিচে জায়গা হলো তার।
তিনদিন পর তদন্তের স্বার্থে তার
লাশটা কবর থেকে উঠানো হল। কিন্তু
একি!
তার লাশটা উঠানোর পর উপস্থিত
কয়েকজন বমি করে দিলো!
এমনকি তার
জন্মদাতা মা-বাবাও লাশের
দুর্গন্ধে নাকে রুমাল চাপা দিলো!
যে আবেদনময়ী শরীরটা দেখার জন্য
হাজার
হাজার চোখ পলকহীন চেয়ে থাকতো,
সেই
শরীরটার একি অবস্থা! অথচ এই
শরীরটার
জন্যই সে বিখ্যাত হওয়ার স্বপ্ন
দেখতো!
তাই বুঝি তার বিখ্যাত
শরীরটা সবাইকে দুর্গন্ধ বিলিয়ে শেষ
বিদায়
জানালো!
(সত্য ঘটনা অবলম্বনে লিখিত)

গল্পটি 'তথাকথিত ' সকল আধুনিক
মেয়েকে উৎসর্গ করা হলো।##

Comments

Popular posts from this blog

Learning to Pray

Arduino and MQ 2 gas sensor